Скачать с ютуб "যে ওয়াজ শুনে আপনি হেসে কেঁদে উঠবেন - চরম ধোলাই দিলেন┇মাওলানা মমতাজুল ইসলাম┇Maulana Momtazul Islam в хорошем качестве

"যে ওয়াজ শুনে আপনি হেসে কেঁদে উঠবেন - চরম ধোলাই দিলেন┇মাওলানা মমতাজুল ইসলাম┇Maulana Momtazul Islam

*অহংকার সম্পর্কে কুরআন ও হাদিস থেকে দলিলসহ বিস্তারিত আলোচনা:* *অহংকার (Pride/Arrogance) ও তার পরিণাম:* ইসলামে অহংকারকে অত্যন্ত নেতিবাচক গুণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। অহংকার এমন এক প্রবৃত্তি, যা মানুষকে সত্য ও ন্যায় থেকে দূরে সরিয়ে রাখে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ থেকে বঞ্চিত করে। কুরআন ও হাদিসে অহংকারের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। *কুরআন থেকে দলিল:* ১. *সূরা লুকমান, আয়াত ১৮:* "তুমি পৃথিবীতে অহংকারের সঙ্গে পদচারণা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো অহংকারী, আত্মম্ভরিকে পছন্দ করেন না।" এই আয়াতে আল্লাহ অহংকারীদের জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। আল্লাহ অহংকারী ও আত্মম্ভরীকে অপছন্দ করেন এবং এর ফলাফল সর্বদা ধ্বংসাত্মক। ২. *সূরা আন-নাহল, আয়াত ২৩:* "আল্লাহ নিশ্চয়ই অহংকারী ও উদ্ধত লোকদের পছন্দ করেন না।"* এই আয়াতে অহংকারকে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এটি আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। ৩. *সূরা আল-আ’রাফ, আয়াত ১৪৬:* "আমি শীঘ্রই পৃথিবী থেকে অহংকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করব, যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে অহংকার করে। তারা যতই নিদর্শন দেখুক না কেন, তারা কখনো ঈমান আনবে না।" এই আয়াতে আল্লাহ অহংকারীদের জন্য কঠিন পরিণতির কথা উল্লেখ করেছেন। অহংকারী ব্যক্তিরা সত্যকে গ্রহণ করে না এবং তারা আল্লাহর নিদর্শন থেকেও দূরে সরে থাকে। *হাদিস থেকে দলিল:* ১. *সহিহ মুসলিম:* হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: "যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।" এই হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন, সামান্য পরিমাণ অহংকারও জান্নাতে প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। ২. *সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিম:* হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: "আল্লাহ তাআলা বলেছেন, 'গর্ব আমার চাদর এবং অহংকার আমার আবরণ। যে ব্যক্তি এতে আমার সাথে প্রতিযোগিতা করবে, আমি তাকে ধ্বংস করব।'" আল্লাহ এখানে অহংকারের জন্য শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন এবং এটিকে সম্পূর্ণরূপে নিজের গুণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ৩. *তিরমিজি:* রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: "কেয়ামতের দিন অহংকারী ব্যক্তিরা পরস্পর ঘৃণিত ও ছোট হয়ে পৃথিবীর সমান হবে এবং তারা মানুষ থেকে দূরে থাকবে।" এখানে রাসূলুল্লাহ (সা.) কেয়ামতের দিন অহংকারীদের জন্য অপমানজনক অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। *উপসংহার:* কুরআন ও হাদিসে অহংকারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে পরিষ্কার নির্দেশনা পাওয়া যায়। আল্লাহ তা’আলা এবং রাসূল (সা.) অহংকারকে চরম নিষেধ করেছেন এবং অহংকারীদের জন্য কঠোর পরিণতির কথা উল্লেখ করেছেন। তাই আমাদের উচিত অহংকার বর্জন করা এবং বিনম্রতা অবলম্বন করা।