Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб প্রাচীন বাংলার রাজধানী পুন্ড্রনগর || মহাস্থানগড় || বেহুলার বাসর ঘর || History of Mohasthan Garh в хорошем качестве

প্রাচীন বাংলার রাজধানী পুন্ড্রনগর || মহাস্থানগড় || বেহুলার বাসর ঘর || History of Mohasthan Garh 1 год назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



প্রাচীন বাংলার রাজধানী পুন্ড্রনগর || মহাস্থানগড় || বেহুলার বাসর ঘর || History of Mohasthan Garh

বগুড়া জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান মহাস্থানগড়ে। মহাস্থানগড় বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মহাস্থানগড় অবস্থিত। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষনা করা হয়। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়, ১০৮২ থেকে ১১২৫ খ্রিস্টাব্দে সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেন যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গড় অরক্ষিত ছিল। মহাস্থানগড়ের রাজা ছিলেন নল, যার বিরোধ লেগে থাকত তার ভাই নীল এর সাথে। এসময় ভারতের দাক্ষিণাত্যের শ্রীক্ষেত্র নামক স্থান থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ এখানে আসেন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে। কারণ তিনি পরশু বা কুঠার দ্বারা মাতৃহত্যার দায়ে অভিশপ্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনিই এই দুই ভাইয়ের বিরোধের অবসান ঘটান এবং রাজা হন। এই ব্রাহ্মণের নাম ছিল রাম। ইতিহাসে তিনি পরশুরাম নামে পরিচিত। কথিত আছে পরশুরামের সাথে ফকির বেশি আধ্যাত্মিক শক্তিধারী দরবেশ হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী রহমতুল্লাহ আলাইহের যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরশুরাম পরাজিত ও নিহত হন। মহাস্থানগড়ে বেশকিছু পুরাকীর্তি রয়েছে। তার মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো মাহী সওয়ার মাজার শরীফ, কালীদহ সাগর, শীলাদেবীর ঘাট, জিউৎকুন্ড কুপ, বেহুলার বাসর ঘর, গোবিন্দ ভিটা, ভাসু বিহার, মহাস্থানগড় জাদুঘর ইত্যাদি। মহাস্থানগড়ের অন্যতম স্থাপনা ঐতিহাসিক মাজার শরীফ। পীরজাদা হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখীকে কেন্দ্র করে প্রাচীন এই মাজার শরীফটি গড়ে ওঠেছিলো। কথিত আছে মাছের পিঠে আরোহন করে তিনি বরেন্দ্র ভূমিতে আসেন। তাই তাঁকে মাহী সওয়ার বলা হয়। প্রচলিত এক গল্প থেকে জানা যায়, হযরত মীর বোরহান নামক একজন মুসলমান এখানে বাস করতেন। পুত্র মানত করে গরু কোরবানী দেয়ার অপরাধে রাজা পরশুরাম তার বলির আদেশ দেন । তাকে সাহায্য করতেই মাছের পিঠে আরোহন করে এখানে মাহী সওয়ারের আগমন ঘটে। আরেক পুরাকীর্তি হলো জিউৎকুন্ডো কুপ। মহাস্থানগড়ের শীলাদেবীর ঘাটের পশ্চিমে জিউৎকুন্ডো নামে এই কুপের অবস্থান। কথিত আছে এই কুপের পানি পান করে পরশুরামের আহত সৈন্যরা সুস্থ হয়ে যেত। যদিও এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি। বেহুলার বাসর ঘর মহাস্থানগড়ের অন্যতম নিদর্শন। মহাস্থানগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে একটি বৌদ্ধ স্তম্ভ রয়েছে যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। স্তম্ভের উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। স্তম্ভের পূর্বার্ধে রয়েছে ২৪ কোন বিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ একটি গোসল খানা। এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত। এছাড়াও এখানে আরও অনেক পুরাকীর্তি রয়েছে। সময় ও সুযোগ হলে অবশ্যই আপনারা মহাস্থানগড় ঘুরে যাবেন। আমার বিশ্বাস অনেক ভাল লাগবে।

Comments