У нас вы можете посмотреть бесплатно কিভাবে বক্তৃতা দিবেন? / How to give a speech? или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
বক্তৃতা দেবার কিছু টিপস, যা আপনার উপকারে আসবেঃ ১। ভাষণ দেবার জন্য যখন আপনার নাম ডাকা হবে, তখন তাড়াহুড়া না করে হাসিমুখে নিজের স্থান থেকে উঠে দাঁড়াতে হবে। আপনি যখন চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন, তখন থেকেই আপনার ভাষণ শুরু হয়ে গেছে। কারণ তখন থেকে সবার দৃষ্টি আপনার উপর নিবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ২। লোকদের হাততালি শেষ হওয়ার পরে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করুন। যদি পকেটে চিরকুট থাকে, সেটাকে ধীরে ধীরে বের করে নিজের সামনে নিয়ে আসুন। ঠোঁটে হাসি নিয়ে মাই থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব ফাঁকা রাখুন। ৩। শ্রোতাদের চোখের সাথে আই কন্টাক স্থাপন করুন। অভিব্যক্তি প্রকাশ এর জন্য হাত দুটো ব্যবহার করুন। বক্তব্য ভাল হলে আপনার শরীরের ভাষা আপনি থেকেই ঠিক হয়ে পড়বে। মাইকে বার বার ফু দেয়া, আঙ্গুল দিয়ে টক্ টক্ শব্দ করা এসব থেকে বিরত থাকুন। দুই হাত স্বাভাবিক অবস্থায় বৃত্তাকারভাবে প্রসারিত করে একটি কাল্পনিক বৃত্তের মধ্যে নিজের হাতগুলোকে ব্যবহার করতে হবে। দুই দিক দিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এক হাতে মাইক থাকলে, অন্য হাত দিয়ে এটি করতে হবে। মাইক বার বার এক হাত থেকে অন্য হাতে নেয়া যাবে না। মাইকের সামনে নিজের মুখকে আড়াল হতে দেয়া যাবে না। হাতের তালু মুষ্টিবদ্ধ না রেখে খোলা রাখতে হবে। মাথা উঁচু করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে। আপনার বক্তেব্যে আপনি যা বলবেন, আপনার হাত, মুখভঙ্গি এবং আপনার শরিরও যেন একই কথা বলে। বক্তব্যে নিজের মৌলিকতা বজায় রেখে নিজের একটা স্টাইল তৈরি করুন। ৪। আপনি যদি আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজের ভাষণ শুরু করতে পারেন, তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি অর্ধেক জিতে গেছেন। মনে রাখবেন, আপনার আত্মবিশ্বাস, সাহস আর তথ্য যত বেশি থাকবে, আপনি তত ভাল বক্তা হবেন। একজন ভালো বক্তা হওয়ার জন্য সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে নিজের ভয়কে জয় করা। মনের ভেতরে ভয় রেখে কখনোই ভালো বক্তা হওয়া যাবে না অর্থাৎ আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। একথা সত্য যে, আপনি যখন যেখানেই বক্তৃতা করেন না কেন, সেখানে আপনার চেয়ে ভালো জানেন এমন অনেকেই উপস্থিত থাকতে পারেন কিন্তু আপনি যখন মঞ্চে উঠবেন, তখন আপনি শুধু আপনার কথাগুলো বলে যাবেন নির্ভয়ে,আপনি যা বলতে চান, তা সুন্দরভাবে বলে যাওয়াই আপনার কাজ । ৫। উপস্থিতিদের যথাযথভাবে সম্বোধন করতে হবে,পাশাপাশি আয়োজক সংস্থা বা কমিটিকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে হবে। যেমন আয়োজিত সবার শ্রদ্ধাভাজন সভাপতি প্রধান অতিথির এবং সন্মানিত উপস্থিতি আসসালামু আলাইকুম এবং নমস্কার। আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুচক-কে আজকের এ বক্তৃতা সভা আয়োজনের জন্য। ৬। ভাষণ শুরুর কয়েকটা লাইন এর মাধ্যমে শ্রোতারা বক্তাকে অনুমান করে নিতে চায়। কাজেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চাঞ্চল্যকর তথ্য উপাত্ত তথ্য দিয়ে ভাষণ শুরু করতে হবে শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য। আপনার বক্তব্যে শিহরিত হবার মত, উপকৃত হওয়ার মতো, অনেক কিছু থাকবে; সেই ধরনের কিছু প্রথমদিকে আভাস দিয়ে রাখতে পারেন। ৭। আপনি যদি নিজের ভাষণের পর কোনো অংশে ভুলেও যান তাতে কি, স্বাভাবিক থাকুন চেহারায় হাসির ভাব রাখুন এবং কৌশল অবলম্বন করুন। ভাষণের আগে মূখ্য পয়েন্টগুলি নাম্বারিং করে হাতের তালুতে রাখুন এবং পয়েন্টগুলি ক্রমানুসারে আগে থেকে কয়েকবার প্রাক্টিস করুন। কোনো পয়েন্ট ভুলে গেলে হাতের তালু থেকে নাম্বারিং পয়েন্ট এক নজরে দেখে নিন। ৮। বক্তব্য দিতে হবে প্রয়োজনীয় ধীর গতিতে, যাতে আপনার প্রতিটি শব্দ স্পষ্ঠ করে শেষ দূরের মানুষটিও শুনতে পায়। কথার মাঝে মাঝে বিরাম দিয়ে বক্তবে প্রাণ দিতে হবে। শ্রোতারা বুঝতে পারে না কখন একটা লাইন শেষ হলো আর পরের লাইনটি শুরু হলো। সুন্দর ছড়া-কবিতাও বিনা বিরামে বোরিং হয়ে ওঠে। ৯। ৫ মিনিটের বক্তৃতাকে মোটামুটি তিনটি ভাগে ভাগ করুন। ভ‚মিকা ১ মিনিট, মধ্যবর্তী অংশ থেকে ৩ মিনিট, উপসংহার ১ মিনিটে ভাগ করুন। ভ‚মিকায় আপনাকে এমন কিছু কথা বলতে হবে, যাতে শ্রোতারা একনিষ্ঠ হয়ে আপনার পরবর্তী বক্তব্যের জন্য প্রতীক্ষা করে। ভাষণের ১০ থেকে ২০ শতাংশ অংশকে ভ‚মিকা বলা হয়ে থাকে। এ জন্য যুক্তিযুক্ত উপমা বা পরিসংখ্যান দিয়ে শুরু করতে পারেন, আবার কবিতা, গল্প, ছন্দ, কৌতুক, প্রবাদ বাক্য দিয়েও শুরু করতে পারেন। আপনার মূল বক্তব্য কী হতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত এই অংশে থাকবে ভ‚মিকা অংশে। ভূমিকার পরের অংশকে মধ্যবর্তী অংশ বলে। এই অংশটা ভাষণের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ হয়। এটি ভাষণের মূল ডাটা সেন্টার। বিভিন্ন তথ্য, গবেষণা, অনুসন্ধান, পরিসংখ্যান, সামপ্রতিক বিশ্লেষণ, সমাধান ইত্যাদিকে এই মধ্যবর্তী অংশে রাখুন। সাম্প্রতিক প্রমাণিত তথ্য নিতে হবে, তবে বিতর্কিত তথ্য নেয়া যাবে না। পরিবেশ, বয়স ও সমাবেশ অনুযায়ী তথ্য বাছাই করতে হবে। বেশি তথ্য পরিবেশন করতে গেলে জটিলতায় পড়বেন। তাই খুব বেশি তথ্য দেবার পরিবর্তে দুইটি বা তিনটি সঠিক তথ্য দিন। বক্তব্যের শেষের দিকে উপসংহার টানুন। উপসংহার হতে হবে তীরের মত, যা শ্রোতাদের হৃদয় আর মস্তিষ্ককে বিদ্ধ করবে, তাদের মনে নাড়া দিবে। এই উপসংহার যত সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হবে, ততো দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সেটা সবার মনে থাকবে। উপসংহারের মাধ্যমে শ্রোতারা জানবে, তাদের কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়। এই অংশে আবেদন, সমাধান, প্রতিশ্রুতি ও ইমোশন থাকবে, যেটা শ্রোতারা সংগে করে বাড়ী নিয়ে যাবে। ১০। বক্তব্যে মধ্যে অবাঞ্ছিত মূদ্রাদোষ যেমন- এ্যা, অ্যা, শব্দ করা বা কোনো শব্দ বার বার বলা থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকতে হবে। ভাল বক্তা হতে হলে আপনাকে সবসময় পড়াশুনা ও সমসাময়িক বিষয়াদি জানতে হবে। সার্বোপরি বক্তৃতা চর্চা চালিয়ে যেতে হবে।