У нас вы можете посмотреть бесплатно সুস্থ পাখি চেনার উপায় | How To Identify a Healthy Bird | বাজরিগার পাখি পালন или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
সুস্থ পাখি চেনার উপায় | How To Identify a Healthy Bird | বাজরিগার পাখি পালন আমাদের মধ্যে অনেকেই নতুন করে পাখি কিনতে চান। একটা সুস্থ সবল পাখিকে কিভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হয় এটা না জানার কারণে অনেকেই অসুস্থ পাখি কিনে নিয়ে আসেন। যার ফলশ্রুতিতে এই পাখিগুলো পরবর্তীতে আর ডিম বাচ্চা করে না। আজকের এপিসোড আমরা জানাবো একটা সুস্থ পাখি চেনার উপায় কি ? একটা পাখির মধ্যে কোন কোন বৈশিষ্ট্য গুলো থাকলে সেটাকে আপনি পুরো পুরি সুস্থ সবল পাখি বলতে পারেন। তাছাড়া আপনার বাসায় যদি পুরনো পাখি থেকে থাকে তবে সেই পাখিগুলোকে পুরোপুরি সুস্থ আছে কিনা আজকের ভিডিও টার মাধ্যমে আপনি সেটাও মিলিয়ে নিতে পারেন এবং রোগ নির্ণয় করে অসুস্থ পাখির ট্রিটমেন্ট শুরু করতে পারেন। ১ , চেষ্টা করবেন আপনি যে পাখিটা কিনতে যাচ্ছেন সেটাকে ধরে কিছু জিনিস পরীক্ষা করে নিতে । পাখিটার সবগুলো পালক ঠিকঠাক আছে কিনা কোন পালক এ ভাঙ্গা আছে কিনা এটা খেয়াল করতে হবে। তাছাড়া এদের পায়খানার রাস্তার আশেপাশে জায়গাগুলো যদি ভেজা বা মল লেগে থাকে তবে একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ এরকম দেখলে ঐ পাখিটার ডায়েরীয়া হয়েছে কিনা এটা আপনার নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। আবার কিছু কিছু পাখির এগ বাইন্ডিং এর সমস্যার কারণে অনেকে বিক্রি করে দেয়। সে ক্ষেত্রে পাখিটার পায়খানার রাস্তার আশপাশে অস্বাভাবিক ফোলা বা শক্ত ডিম আটকে রয়েছে কিনা এটা হাত দিয়ে ধরে বোঝার চেষ্টা করবেন। আবার কিছু কিছু পাখির এগ বাইন্ডিং এর সমস্যা থাকলে পায়খানার রাস্তার আশপাশে পালক গুলো পড়ে যায়। ঐ জায়গাটাতে পালক পড়ে লাল চামড়া দেখলে সে পাখিটা কেনা থেকে বিরত থাকুন। ২, এর পরবর্তীতে আপনি পাখির চোখ গুলো লক্ষ্য করবেন। বাজরিগার পাখির চোখগুলো কিন্তু হবে উজ্জ্বল । এতে কোন ময়লা থাকবে না। সুস্থ পাখির চোখ দিয়ে পানি পড়বে না এবং চোখের আশপাশের জায়গাটা পরিষ্কার থাকবে । তাছাড়া বাজরিগারের ক্ষেত্রে কিন্তু চোখের রিং দেখে পাখির বয়স নির্ধারণ করা সম্ভব। প্রাপ্তবয়স্ক পাখিগুলোর মানে যাদের বয়স ছয় মাসের উপর এই পাখিগুলোর চোখে রিং চলে আসে কিন্তু বাচ্চা পাখিগুলোর পুরো চোখটাই একই কালারের হয় এর মধ্যে আপনি কোন রিং দেখতে পাবেন না। অন্যদিকে আপনার পালন করা পাখির চোখে যদি এরকম এর কোন সমস্যা থাকে যে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে বা চোখের আশপাশের লোম উঠে যাচ্ছে। তবে পাখির জন্য সিপ্রোসিন আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে বলে রাখা ভাল এটা প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ছোটখাটো সমস্যা ব্যবহার করতে পারেন। ৩, একটা পাখি ঝিমাচ্ছে নাকি সে রেষ্ট নিচ্ছে এটা বোঝাটা পাখি কেনার সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। অতিরিক্ত গরম পড়লে বা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে পাখি দিনের বেলায় ঝিমুতে পারে। সে ক্ষেত্রে যে ঐ পাখিটা অসুস্থ সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাই সব থেকে ভাল হয় আপনি সকালবেলা অথবা বিকেল পাঁচটার পর পাখি কেনার চেষ্টা করুন। এসময় পাখিগুলো অ্যাক্টিভমুডে থাকে এবং তারা খাবার-দাবার খাই নিজেদের মধ্যে ঠোকরা ঠুকরি করে এবং চটপটে মেজাজে থাকে। তাই এ সময় পাখি সুস্থ কিনা এটা সহজে বোঝা যায়। ৪, পাখি কেনার আগে পাখির পুপস বা টয়লেট লক্ষ করবেন। পাখির টয়লেট অতিরিক্ত নরম বা সবুজ কিনা এটা খেয়াল করবেন। তবে সাধারন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত পাখি সুস্থ হয়ে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। কিন্তু কিছু কিছু ডায়রিয়া রয়েছে যেগুলো অনেকদিন যাবত পাখির মধ্যে স্থায়ী হয়। এজন্য পাখির যদি আপনি ডায়রিয়া লক্ষ করেন তবে পাখিটা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো হবে। তাছাড়া পাখির পুপস এর মধ্যে কৃমি আছে কিনা এটাও খেয়াল করতে পারেন। কারণ কৃমি থাকলে এটা পাখির শরীর থেকে পুষ্টি উপকরণ খেয়ে ফেলে ফলশ্রুতিতে পাখি দিন দিন শুকিয়ে যায়। তাই যে কোন পাখি কেনার আগে ওই পাখির পক্স বা টয়লেট টা অবশ্যই ভালোভাবে দেখে নিবেন। ৫, এর পরবর্তীতে খেয়াল করবেন পাখির শরীরে মাইটস বা উকুন আছে কিনা। আসলে পাখির মাইডস গুলো আকৃতিতে খুবই ছোট এটা কে আপনি বালুর দানার সমান বলতে পারেন। আপনি যদি পাখির পালক গুলো মেলে ধরে খুব মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করেন তবে শুধুমাত্র এই মাইটস গুলোকে খালি চোখে দেখতে পারবেন। কিছু কিছু পাখির শরীরে এরকম মাইটস দেখা যায়। এটা বাজরিগার লাভ বার্ড ম্যাকাও সহ প্রায় সব রকমের পাখির মধ্যেই হতে পারে। এ ধরনের পরজীবী পাখির চামড়ার মধ্যে শোষক লাগিয়ে তার রক্ত চুষে খায়। ফলশ্রুতিতে পাখি অসুস্থ হয়ে পড়ে। যদিও খুব সাধারণ কিছু ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে মাইটস রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। কেনার সময় এ ধরনের রোগে আক্রান্ত পাখি না কেনাই ভালো হবে। কারন এইসব পরজীবী গুলো অনেকটা ছোঁয়াচে টাইপের। এগুলো কিনে নিয়ে আসলে আপনার বাড়িতে থাকা পুরনো পাখিগুলো এ ধরনের মাইটস জাতীয় রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আপনার পালন করা পোষা পাখির শরীরে যদি মায়ের ছেলের লক্ষণ দেখা দেয় তবে নিমপাতা সেদ্ধ করা পানি স্প্রে করার মাধ্যমে আপনি এটাকে প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। ৬, পাখি কেনার পূর্বে পাখির পা গুলোতে সবগুলো আঙ্গুল আছে কিনা এটা খেয়াল করবেন। কারণ কিছু কিছু ছেলে পাখির পায়ে সমস্যা থাকলে এটা পরবর্তীতে ব্রিডিংয়ের সময় ঝামেলা সৃষ্টি করে। তাই আপনি যে পাখিটা কিনছেন সেটার পায়ের সবগুলো আংগুল ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা ঠিক ভাবে ডাল আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে পারে কি না এগুলো খেয়াল করবেন। তাছাড়া সুস্থ পাখি হবে চটপটে সব সময় উড়াউড়ি এবং নড়াচড়ায় ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করবে। আর একটা অসুস্থ পাখি শুধু শুধু গা ফুলিয়ে বসে থাকবে নড়াচড়া করতে চাবে না।