Скачать с ютуб দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋন দিতে রাজি সবল দশ ব্যাংক | বিস্তারিত তথ্য в хорошем качестве

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋন দিতে রাজি সবল দশ ব্যাংক | বিস্তারিত তথ্য

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২০ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এর মধ্যে সাতটি ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। তবে ছয়টি ব্যাংকের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তাদের অনেক শাখায় নগদ টাকার লেনদেন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে আমানতকারীদের চাপে শাখা ব্যবস্থাপকসহ ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি হতে উত্তোরণে তারল্য সহায়তা পেতে পাঁচটি ব্যাংক ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে এবং আরও দুটি ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। সংকটে পড়া এই সাত ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা প্রয়োজন। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৫ হাজার কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৭ হাজার ৯০০ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৫০০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সাড়ে ৩ হাজার কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫ হাজার কোটি ও এক্সিম ব্যাংক ৪ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে। চলমান এই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকবেলায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তাঁদের প্রতিনিধিরা। যার মধ্যে অতিরিক্ত তারল্য থাকা যে ১০ টি ব্যাংক শর্ত সাপেক্ষে ঐ সকল দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ্‌ বাংলা ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া। তারা প্রস্তাবিত এই ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে টাকা ফেরত ও বাজারভিত্তিক সুদ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি চেয়েছে। সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেওয়া ঋণের টাকা চুক্তির মেয়াদ সম্পন্ন হওয়ার তিন দিনের মধ্যেই সবল ব্যাংকগুলোকে পরিশোধে গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দিবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে দুর্বল ব্যাংকগুলোর যেকোনটি ঋণের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপাতত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। অর্থাৎ বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। যার ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না। কোন ব্যাংককে কত টাকার তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, সেটি স্থির করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এই ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে দুই ব্যাংকের সমঝোতার ভিত্তিতে। উল্লেখ্য, ঋনের এই টাকা দুর্বল ব্যাংকগুলো কেবল গ্রাহকেদের নগদ উত্তোলন বা ফান্ড ট্রান্সফার নিষ্পন্ন করার শর্তে পাবেন কিন্তু কাঠামো বা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, ঋনপ্রদান, পরিচালন ব্যয় ইত্যাদি কোন প্রকার ভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণে ব্যবহার করতে পারবে না। দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হল ব্যাংক যাদের কার্যক্রমের একটি প্রধান দায়িত্ব হল গ্রাহকের জমাকৃত অর্থ বা আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু যথা সময়ে গ্রাহকের এই জমানো টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করতে না পারার কারণে যদি আস্থার সংকটের সৃষ্টি হয় তবে এটির নেতিবাচক প্রভাব দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে যা কখনোই কাম্য নয়। তাই তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে এই ঋন প্রদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি, দুর্বল করা ঐ সকল ব্যাংকের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। ধন্যবাদ। #bankingnews #bangladeshbank #loans #দুর্বলব্যাংক #সবলব্যাংক #ঋনপ্রদান #বাংলাদেশব্যাংক #bridgepointbp