Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб এই রাজবাড়ির ভেতরে ঢুকলে আপনি একা বেরোতে পারবেন না । JAMGRAM RAJBARI, HOOGLY | Pandua Jamindarbari в хорошем качестве

এই রাজবাড়ির ভেতরে ঢুকলে আপনি একা বেরোতে পারবেন না । JAMGRAM RAJBARI, HOOGLY | Pandua Jamindarbari 3 года назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



এই রাজবাড়ির ভেতরে ঢুকলে আপনি একা বেরোতে পারবেন না । JAMGRAM RAJBARI, HOOGLY | Pandua Jamindarbari

এ যেন অজানা এক পথ কে জানে কোথায় হবে শেষ - পথ শেষ হলো প্রায় 72 কিলোমিটার জার্নির শেষে.। দু'ধারে দিগন্তবিস্তৃত ক্ষেত মাঝখান দিয়ে কালো পিচের রাস্তা।সেই নয়নমুগ্ধকর দৃশ্য পেরিয়ে আমরা পৌঁছোলাম নন্দী জমিদারবাড়ির সামনে৷ প্রথমেই চোখে পড়ল সুবিশাল কৃষ্ণ মন্দির ৷ তার ডানপাশেই রাজবাড়ি প্রবেশের দরজা৷ সঙ্গে থাকুন দেখতে থাকুন ঘুরতে ফিরতে। রাজবাড়ির সামনে পরিচয় হল নন্দী বংশের প্রবীণ সদস্য সতিপতী নন্দী মহাশয়ের সঙ্গে৷ বর্তমানে উনি ৮৩ বছর পার করেছেন৷ তাঁর মুখ থেকেই জানা গেল নন্দীবাড়ীর পুরো ইতিহাস। জামগ্রাম নন্দীবাড়ি দুর্গাপুজো দেখার মতো। আজও দুর্গাপুজোর সব রকম ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন এই নন্দী পরিবার। দুর্গাপুজো শুরু হয় রথের সময় কাঠামোপুজো করে, খড়ের ওপর মাটি লেপে৷ পুজোর চার দিন এই গ্রামে কোনো মাইক বাজে না৷ তখন শুধুই ঢাকের বোল শোনা যায়৷ বাংলা তথা ভারতের আর কোথাও এত বড়ো যৌথ পরিবার ক’টা আছে হাত গুনে বলা যায়৷ বিদেশিদের চোখেও তাই জামগ্রাম রাজবাড়ির আলাদা কদর রয়েছে৷ সব মিলিয়ে আজও নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অক্ষুন্ন রেখেছে এই পরিবার৷ বাইরে থেকে রাজবাড়ির বিশালত্ব সহজে অনুমান করা যায় না৷ প্রায় ১৩ বিঘা জমির ওপর দাঁড়িয়ে জামগ্রামের নন্দীবাড়ি৷ কোনো অচেনা মানুষ একা একা রাজবাড়িতে ঢুকে পড়লে আর দরজা চিনে বাইরে বেরোতে পারবে না যতক্ষণ না তাঁকে বাড়ির কেউ এসে বেরোনোর পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন৷ বাড়ির ভেতর বিভিন্ন মহল৷ এক একটা মহলে অতীত থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের আসবাবপত্র, বাসন, মূল্যবান কাগজপত্র সংরক্ষিত৷ সাধক কবি রামপ্রসাদ এর জন্মস্থান হালিশহরের কেওটা গ্রাম থেকে পর্তুগীজ বোম্বেটেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দুই ভাই রাম শংকর ও কুবের শংকর আজ থেকে আড়াইশো বছরেরও বেশি আগে বাংলার এগারোশো 72 সালের আশেপাশে চলে আসেন এই জামগ্রামে । তখন তাদের অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না এই গ্রামের আশেপাশে তেলেভাজার ফেরি করতেন দুই ভাই । একদিন এই জাম গ্রামেরই পাশের গ্রামে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে তারা দেখা পান এক ফকিরের তিনি রাম শংকর এবং কুবের শংকর কে একটি মোহর দেন, বলেন এতেই তাদের ভাগ্য খুলবে। সুপুরি, বিভিন্ন প্রকার মশলা ও নুনের ব্যবসা, এই ছিল নন্দীদের প্রধান জীবিকা৷ বর্ধমানের কালনা, কলকাতার বড়বাজার অঞ্চলের কালীকৃষ্ণ ঠাকুর streete , বেলেঘাটার খালপোল অঞ্চলে নন্দীদের ব্যবসার গদি ছিল৷ শোনা যায় এক বার বড়লার্ট ওয়ারেন হেস্টিংসের অনেক টাকার দরকার হয়৷ তখন বড়লার্ট তৎকালীন নন্দীদের কাছে অনেক টাকা দাবি করেন৷ আবার সেই সময় বাংলার রানি ভবানীর সঙ্গে বৃটিশদের অশান্তি লাগে৷ এর শোধ নিতে বড়লার্ট হেস্টিংস মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রানি ভবাণীর তিনটি মহল (কালনা, বৈদ্যপুর ও জামগ্রাম) নন্দীদের দিতে চান। নন্দীরা প্রথমে অসম্মত হলেও পরে ব্রিটিশদের শর্ত মানতে বাধ্য হন৷ তখনকার দিনে ব্রিটিশদের কোনো অনুষ্ঠান হলে বাংলার মধ্যে একমাত্র বর্ধমান রাজা ও নন্দীরা নিমন্ত্রিত হতেন ৷ হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী মেন লাইনের লোকাল চেপে নেমে পড়ুন পান্ডুয়া স্টেশন কিংবা ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে আপনি চলে আসতে পারেন পান্ডুয়ায় সেখান থেকে ধরে নিন টোটো কিংবা অটো আর 15 মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যান নন্দীদের এই জমিদার বাড়িতে। আর খাওয়া-দাওয়ার কথা বলতে গেলে বলতে হয় এই জামগ্রামে আপনি কোন খাবার পাবেন না, খাবার-দাবার খেতে গেলে চলে আসুন পান্ডুয়া স্টেশন সংলগ্ন যে কোন দোকানে ।

Comments