Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб Debabrata Biswas LIVE in the 1970s –Pt-31 –তাসের দেশ-এর গানে দেবব্রত বিশ্বাস -Songs from Tasher Desh в хорошем качестве

Debabrata Biswas LIVE in the 1970s –Pt-31 –তাসের দেশ-এর গানে দেবব্রত বিশ্বাস -Songs from Tasher Desh 7 месяцев назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



Debabrata Biswas LIVE in the 1970s –Pt-31 –তাসের দেশ-এর গানে দেবব্রত বিশ্বাস -Songs from Tasher Desh

৭০-এর দশকে জর্জদা (৩১) – একত্রিংশতিতম পর্ব নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা বহু কারণের জন্য সত্তরের দশকে জর্জদার একত্রিংশতিতম পর্ব প্রকাশে বেশ কিছুটা বিলম্ব হলো। যারা আমার চ্যানেলের নিয়মিত শ্রোতা তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এই পর্বে রইল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’ নাটিকার চারটি গান (যাবই আমি যাবই, এলেম নতুন দেশে, আমরা নূতন যৌবনেরই দূত, বাঁধ ভেঙে দাও) দেবব্রত বিশ্বাসের কন্ঠে। এ পর্যন্ত দেবব্রত বিশ্বাসের কন্ঠে যত গান আবিষ্কৃত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে দেবব্রত বিশ্বাস ‘তাসের দেশ’ এর সাকুল্যে পাঁচটি গান গেয়েছেন। পঞ্চম গান ‘খরবায়ু বয় বেগে’ আমি আগেই জর্জদার কণ্ঠে আপলোড করেছি আমার চ্যানেলে বাংলা এবং হিন্দীতে (বাংলায় কনক দাসের সঙ্গে / হিন্দীতে পঙ্কজ কুমার মল্লিকের সঙ্গে)। তাই এবারে ওই গানটি এই সংকলনে উহ্য রইলো। প্রথম গান ‘যাবই আমি যাবই’ প্রসঙ্গে একটা গল্প শুনেছিলাম দেবব্রত বিশ্বাসের সুযোগ্য ছাত্র শিবাজী পাল মহাশয়ের মুখে। শিবাজীদা বলেছিলেন, দেবব্রত বিশ্বাস গানটি গাইতে বসে হঠাৎ শিবাজীদাকে বলেছিলেন গানের একটি লাইন শৈলচূড়ায় নীড় বেঁধেছে সাগর বিহঙ্গেরা প্রসঙ্গে। জর্জদা বলেছিলেন, “সমুদ্রের মধ্যে উইঠ্যা থাকা পাহাড়ের গায়ে পাখিরা কেমন কইরা বাসা বাঁন্ধে তা তো আমি দেখি নাই, এ লাইন আমি গামু কেমনে?” দেবব্রত বিশ্বাস গান দেখতে পেতেন; তাই তাঁর পক্ষে শৈলচূড়ায় কেমন করে পাখিরা বাসা বাঁধে দেখা অতটাই জরুরী হয়ে পড়েছিল। ‘যাবই আমি যাবই’ এবং তার পরের গান ‘এলেম নতুন দেশে’-র মধ্যে কয়েকটি কথা ধরা রইল যেগুলি দেবব্রত বিশ্বাস বলেছিলেন শিবাজীদা কে। এই সংকলনের শ্রোতাদের আশা করি তা ভালো লাগবে। শেষের গান ‘বাঁধ ভেঙে দাও’ বাহার মিউজিক এর সংকলন থেকে নেওয়া। তাঁদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ‘বাঁধ ভেঙে দাও’ গানটি নিয়েও একটি গল্প আছে যা দেবব্রত বিশ্বাস তার আত্মজীবনী ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীতে বর্ণনা করেছেন। সেই গল্পটি আপনাদের শোনাই স্বয়ং জর্জদার জবানিতে। “আমার সিটি কলেজে পড়ার দিনগুলিতে আমার একজন সহপাঠী সুধীন দত্তর কথা উল্লেখ করেছিলাম। (প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রাজেশ্বরী দত্তের স্বামী স্বনামধন্য কবি সুধীন দত্ত)। সুধীন তাঁর কয়েকজন চেনা পরিচিত বন্ধুদের নিয়ে ঠিক করল কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের তাসের দেশ নাটকটি মঞ্চস্থ করবে। ব্যাপারটি হয়েছিল ১৯৪৪ সনে। নয় রাত্রি ধরে কলকাতার তিনটি প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চস্থ করা হবে। সুধীন আমাকে রাজপুত্রের গান গুলি গেয়ে দেবার জন্য পাকড়াও করলো - রাজীও হয়ে গেলাম। সব ব্যবস্থা পাকাপাকি হয়ে গেল - রিহার্সালও বিজয় সিং নাহারের বাড়িতে কুমার সিং হলে শুরু হয়ে গেল। তাসের দেশের অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিচালক ছিলেন কেলু নায়ার এবং সংগীত পরিচালনা করেছিলেন শান্তিদেব ঘোষ। রাজপুত্রের গানগুলি আমাকে গাইতে হতো। দু তিন রাত অভিনয় হয়ে যাবার পর পরিচালক মহাশয় নাটকের শেষ দিনটি আমাকে গাইতে নির্দেশ দিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, “গানটি with pleasure গাইবো, না without pleasure গাইবো?” তিনি with pleasure গাইবার নির্দেশ দিলেন। নাটকের শেষ গানটি ছিল ‘ভাঙো বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও, ভাঙো’। তখনকার দিনে গানটি কারা গাইতেন আমার একদম মনে নেই; কিন্তু গানটি গাওয়া হত খুব পেলব ভঙ্গীতে। সেদিন আমি আমাদের গণনাট্য সংঘের অনুষ্ঠানগুলিতে যেভাবে গানটি গাইতাম ঠিক সেই ভঙ্গিতে দ্রুত লয়ে, গাইতে আরম্ভ করলাম। দেখতে পেলাম দক্ষিণ ভারতীয় নৃত্যশিল্পী কেলু নায়ার প্রাণের আনন্দে স্টেজের ধুলো উড়িয়ে নেচে নেচে বেড়াচ্ছেন কিন্তু অন্যরা ঠিক সুবিধে করতে পারছেন না। গান শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই যবনিকা পতন। তারপরেই ভর্ৎসনার সুরে আমার কাছে কৈফিয়ৎ চাওয়া হলো ওইভাবে আমি গানটি গাইলাম কেন। আমি বলেছিলাম আমায় with pleasure গাইতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলেই ওইভাবে গেয়েছি। বলা বাহুল্য ওই গান পরে আর আমায় গাইতে হয়নি।” আশা রাখি ‘তাসের দেশ’ সংকলনের গানগুলিও আমার আপলোড করা দেবব্রত বিশ্বাসের অন্যান্য সংকলনের মতোই আপনাদের মুগ্ধ করবে। নমস্কারান্তে, জয়ন্তানুজ ঘোষ ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

Comments