Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб Debabrata Biswas LIVE in the 1970s – Pt 28 – স্বামী বিবেকানন্দ গীত রবীন্দ্রসঙ্গীত – প্রথম পর্ব в хорошем качестве

Debabrata Biswas LIVE in the 1970s – Pt 28 – স্বামী বিবেকানন্দ গীত রবীন্দ্রসঙ্গীত – প্রথম পর্ব 8 месяцев назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



Debabrata Biswas LIVE in the 1970s – Pt 28 – স্বামী বিবেকানন্দ গীত রবীন্দ্রসঙ্গীত – প্রথম পর্ব

১২ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দর পুণ্য আবির্ভাব দিবস। তাঁর দিব্য কণ্ঠে যে সকল রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভিন্ন সময়ে শোনা গিয়েছে, তা নিয়েই এবারের প্রতিবেদন। স্বামী বিবেকানন্দর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম যোগাযোগ হয় খুব সম্ভবত ১৮৮১ সালে যখন তিনি প্রথম বিলেত প্রবাস থেকে সদ্য ফিরেছেন। রাজনারায়ণ বসুর কন্যা লীলা দেবীর সঙ্গে ‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণকুমার মিত্রের বিবাহ উপলক্ষে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি বিবাহ সংগীত রচনা করেছিলেন। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে এই বিবাহ সভায় গায়কবৃন্দের মধ্যে যে নামটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটি নরেন্দ্রনাথ দত্তর। ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’-র ১৮০৩ ভাদ্র সংখ্যা এবং লীলা দেবীর ডায়েরি থেকে উপরোক্ত তথ্য পাওয়া যায়। বাগবাজারে সিস্টার নিবেদিতার বাসভবনে ২৭শে জানুয়ারি ১৮৯৯ একটি চা পান সভায় সিস্টার নিবেদিতার আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ। নিবেদিতা মিস ম্যাকলাউড কে লেখা একটি চিঠিতে জানাচ্ছেন, "স্বামীজি একেবারে দিব্য ব্যাপার। গতকাল পার্টিতে এসেছিলেন। মিঃ টেগোর তার মনোরম চড়া সুরে স্বরচিত তিনটি গান গাইলেন। স্বামীজিও অনবদ্য..." ১৯০২এ স্বামীজীর দেহাবসানের পর, রবীন্দ্রনাথ তার স্মৃতিসভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন এ তথ্য প্রকাশিত হয় ১৫ জুলাই ১৯০২ এর ‘The Bengalee’ সংবাদপত্রে। আবার গয়ায় বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাকালে উদ্বোধনী সভায় উপস্থিত ছিলেন নিবেদিতা এবং রবীন্দ্রনাথ। সেই সভার বিবরণী প্রকাশিত হয় ২৩শে অক্টোবর ১৯০৪-এ তৎকালীন সংবাদপত্র ‘The Bengalee’ তে। ‘উদ্বোধন’ সপ্তম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা এবং ‘প্রবুদ্ধ ভারত’ পত্রিকা থেকে জানতে পারা যায় যে রবীন্দ্রনাথের বেলুড় মঠে যাওয়া আসা ছিল। ১৯০৫ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি বিবেকানন্দ জন্মোৎসব উপলক্ষে বেলুড় মঠে যে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় সেখানে মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্ট অভ্যাগতদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জগদীশচন্দ্র বসুর নাম পাচ্ছি। সুবিখ্যাত গবেষক শংকরীপ্রসাদ বসু তার গবেষণালব্ধ রচনায় অন্তত ১৫ টি রবীন্দ্রসঙ্গীতের উল্লেখ করেছেন যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে স্বামী বিবেকানন্দর কন্ঠে শোনা গেছে। এই ১৫ টি রবীন্দ্রসঙ্গীতের মধ্যে ৭টি গান আমরা দেবব্রত বিশ্বাসের কন্ঠে এ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পেরেছি। সেই ৭টি গানের মধ্যে থেকে ৪টি গান আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত করা হলো যা জর্জদা উপস্থিত করেছেন নিজস্ব notes সহ। প্রথম গান 'তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা', রবীন্দ্রনাথের 'ভগ্নহৃদয়' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। ভগ্নহৃদয় কাব্যগ্রন্থ কবি কাকে উৎসর্গ করেছেন, তাই নিয়ে গবেষকরা নানারকম সংশয় প্রকাশ করে থাকেন। উৎসর্গপত্রে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, 'হে-কে'। দেবব্রত বিশ্বাসও তার নিজস্ব নোট-এ বলেছেন, "হে-কে যে কে তা বোঝা গেল না"। তবে এখন নিঃসন্দেহ হয়ে বলা যায় যে রবীন্দ্রনাথ উল্লিখিত 'হে' আসলে কাদম্বরী দেবী। ম্যাকবেথ নাটকের প্রধানা ডাইনির নাম ছিল 'হেকেটি'। রবীন্দ্রনাথ এই নামে মজা করে, তার সাধের বৌঠান কাদম্বরী দেবীকে কখনো কখনো খ্যাপাতেন। আর তাই উৎসর্গ পত্রে রহস্যচ্ছলে উল্লেখ করেছেন 'হে-কে'। রবীন্দ্রনাথ এই গানটি স্বরলিপি পাল্টেছেন বারে বারে। প্রথমবার স্বরলিপি কে করেছিলেন তা জানা না গেলেও দ্বিতীয়টি করেন ইন্দিরা দেবী এবং তৃতীয়টি কাঙ্গালীচরণ সেন। আবার প্রথম প্রকাশের সময় গানটির রাগিণী আলাইয়া তাল ঝাঁপতাল উল্লেখিত হলেও পরবর্তীকালে এটি পাল্টিয়ে করা হয়েছে রাগ ছায়ানট তাল ঝাঁপতাল। আরো মজার ব্যাপার গানটি গীতবিতানের প্রেম পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হলেও কাঙ্গালীচরণ সেন কৃত 'ব্রহ্মসংগীত স্বরলিপি'-র তৃতীয় খণ্ডে আমরা গানটিকে পাচ্ছি। সেই যুগে এই গানটি ব্রহ্মসঙ্গীত হিসেবে গীত হলেও গীতবিতানে এই গানটি কেন প্রেম পর্যায়ে উল্লেখিত হল তা জানা যায় না। স্বামী বিবেকানন্দ এই গানটি অন্তত দুবার শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে শুনিয়েছেন। শ্রীম বিরচিত শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত গ্রন্থে ১৮৮৫ সালের ১৪ই জুলাই ও ২৪শে অক্টোবর এই গান বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে শোনাচ্ছেন বলে উল্লেখিত আছে। পরবর্তী গান 'আমরা যে শিশু অতি'-র উল্লেখও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত গ্রন্থে পাওয়া যায়। সন্ন্যাস গ্রহণের অব্যবহিত পরে স্বামী বিবেকানন্দ এই রবীন্দ্রসঙ্গীতটি গেয়েছিলেন ৭ই মে ১৮৮৭ তারিখে বরাহনগর মঠে। তৃতীয় গান 'একি এ সুন্দর শোভা' সম্পর্কে ক্ষিতিমোহন সেন 'বিবেকানন্দের কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত' প্রবন্ধে লিখছেন, "আমার ভাগ্য এমন যে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে পাই কাশীতে। আর যার কন্ঠে সেই গানটি ধ্বনিত হয়েছিল তার নাম শুনলে অনেকেই বিস্মিত হবেন। অনেক স্থানে আমি এই কথাটি সংকোচের সঙ্গে বলেছি। গানটি 'একি এ সুন্দর শোভা'। স্বামী বিবেকানন্দ অপূর্ব গাইয়ে ছিলেন।" শেষ গান 'দিবানিশি করিয়া যতন' রবীন্দ্রনাথ ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের মাঘোৎসবের জন্য যে সাতটি ব্রহ্মসঙ্গীত রচনা করেছিলেন তার মধ্যে একটি। ১৪ই সেপ্টেম্বর ১৮৮৪ তারিখে স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণদেব কে দক্ষিণেশ্বরে গেয়ে শুনিয়েছিলেন বলে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত তে উল্লেখ পাওয়া যায়। কতিপয় রবীন্দ্র গবেষক 'স্বামী বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ সমসাময়িক মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে সদ্ভাব ছিল না বা তারা পরস্পরকে পছন্দ করতেন না' বলে যে মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন ইতিহাস তার পক্ষে সাক্ষ্য দেয় না। স্বামী বিবেকানন্দ নানা সময়ে নানা স্থানে যেমন রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছেন, তেমনই ১২৯৪ বঙ্গাব্দে (১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে) তার সম্পাদিত ‘সংগীত কল্পতরু’ গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের রচিত দশটি গানকে স্থান দিয়েছেন। আবার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথই বিবেকানন্দ সম্পর্কে বলেছেন, "If you want to know India read Vivekananda. In him everything is positive and nothing negative." এবারের আপলোডে দেবব্রত বিশ্বাসের গান ও কথা শ্রী অধীপ চৌধুরী মহাশয়ের সংগ্রহ থেকে প্রাপ্ত। দেবব্রত বিশ্বাসের সমগ্র ভক্তমণ্ডলীর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। নমস্কারান্তে, জয়ন্তানুজ ঘোষ ১৮/০১/২৪

Comments