Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб আদি সপ্তগ্রাম আমাদের গর্ব | আদি সপ্তগ্রাম এত Famous কেন চলুন জেনে নেই কি কি আছে এখানে в хорошем качестве

আদি সপ্তগ্রাম আমাদের গর্ব | আদি সপ্তগ্রাম এত Famous কেন চলুন জেনে নেই কি কি আছে এখানে 3 года назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



আদি সপ্তগ্রাম আমাদের গর্ব | আদি সপ্তগ্রাম এত Famous কেন চলুন জেনে নেই কি কি আছে এখানে

#Adisaptagram #Saptagram #আদি_সপ্তগ্রাম বর্তমানে কলকাতা যেমন সমৃদ্ধ নগরী, প্রাচীন কালে সপ্তগ্রাম ছিলো তেমনই সমৃদ্ধশালী নগর।এই বিষয়ে বঙ্কিমচন্দ্রের "কপালকুন্ডলা" পাঠ করলে অনুমান করা যায়। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে "কপালকুন্ডলা" প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রথম পরিচ্ছেদ ; "সাগরসঙ্গমে" - এর প্রথম লাইনেই বঙ্কিমচন্দ্র উল্লেখ করেন 'প্রায় দুই শত পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে' অর্থাৎ প্রায় ষোড়শ শতকের প্রথম দিকের সময় কালের কথা বলা হয়েছে।এই অর্থে সেই সময় সপ্তগ্রাম সমৃদ্ধশালী ছিল কিন্তু,বর্তমানে সপ্তগ্রামের সমৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার মূল কারণ গঙ্গার প্রবাহের দিক পরিবর্তন। বর্তমানে গঙ্গার মূল প্রবাহ যেমন একটা ধারায় বইছে, প্রাচীন কালে এটি ত্রিবেণীর কাছে তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বইত। দক্ষিণ পশ্চিমে যে ধারা বা নদী বইত তা সরস্বতী, দক্ষিণ পূর্ব দিকে যে ধারা বইত তা যমুনা (ইউরোপীয়রা এই নদীকে 'কাঁচড়াপাড়া খাল' বলে উল্লেখ করেন) ও দক্ষিণে বইত ভাগীরথী যাকে আমরা বলি আদি গঙ্গা। ভাগীরথীর প্রবাহ এখনো বর্তমান তাই ভাগীরথীর তটে গড়ে ওঠা কলকাতা বর্তমানে সমৃদ্ধশালী। কিন্তু কালক্রমে যমুনা ও সরস্বতী যেমন ক্ষীণ হয়ে গেছে তেমন তাদের পাশে গড়ে ওঠা নগর গুলোও প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে। তাই প্রাচীন কালে সরস্বতী নদীর নাব্যতার জন্য মধ্যযুগীয় সপ্তগ্রামের সমৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে এ কথা অনস্বীকার্য ।সরস্বতীর ধারা এক সময় সাতগাঁ এর পাশ দিয়ে বইত। এই সাতগাঁ পরবর্তী কালে সপ্তগ্রাম হয়ে ওঠে। এই সাতগাঁ বা সপ্তগ্রাম নিয়ে বলার আগে সরস্বতী নদী কে নিয়ে দুকথা বলি। ১২৯৮ সালে একাধিক আরবি ফার্সি শিলালিপিতে পাওয়া যায় সাতগাঁ অঞ্চল এর নাম।১৩২৮ সালে মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজত্ব কালে বাংলাদেশের তিনটি শাসনকেন্দ্রের মধ্যে সাতগাঁ একটি বলে জানা যায়। ১৩৩০ খৃষ্টাব্দে বাদশাহ মুহাম্মদ বিন তুঘলক বঙ্গদেশ কে তিন ভাগে বিভক্ত করেন।তার মধ্যে বঙ্গের প্রধান শাসন কেন্দ্র ছিলো সাতগাঁ। বাকি দুটি লক্ষ্মণাবতী ও সোনারগাঁ । ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ দিকে সপ্তগ্রাম মুসলমানরা যুদ্ধ করে দখল করেন। ১৩২৮ সাল থেকে বাদশাহ মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজত্ব কালে সাতগাঁ প্রধান শাসন কেন্দ্র হয় এবং আজম-উল-মুলক কে সাতগাঁ এর শাসন কর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেন। তারপর ফকরুদ্দিনের রাজত্বকালে বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা যখন বাংলাদেশে আসেন তখন তিনি এই সাতগাঁ বন্দরে নামেন। তার বিবরণ থেকে পরিষ্কার বোঝাযায় সাতগাঁ তখন সমুদ্র উপকূল থেকে বেশি দূর ছিলো না বতুতা পরিষ্কার করে বলেন যে গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গম স্থলে যেখানে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের সমাবেশ হয় সাতগাঁ তারই পাশে অবস্থিত। এ বিষয়ে আচার্য যদুনাথ সরকারও একই কথা বলেছেনঃ- "The Ibn Batuta entered Bengal through the Port of Satgaon admits of no doubt. The traveller's own statement despite all misgivings on this point... he says that it lay near the confluence of Ganges and the Jamuna where the Hindus went on pilgrimage and was situated on the sea coast. That the Ganges and the Jamuna United near satgaon and near Chittagong is borne out by Abul Fazl. Again,Chittagong was obviously be the base from which Fakhruddin sailed out his summer with his flotilla for an attack upon Lakhnawati as stated by Ibn Batuta. so, the contention of Sukawan being Chatigaon holds little water."( অনেকে মনে করেন ইবনে বতুতা চাটিগাঁ বা চট্টগ্রাম বন্দরে এসে নেমেছিলেন কিন্তু আচার্য যদুনাথ সরকারের উক্ত উদাহরণ থেকে প্রমাণ হয় সাতগাঁ হল চাটিগাঁ বা চট্টগ্রাম নয় সাতগাঁ আসলে সপ্তগ্রাম......... তথ্যসূত্র- বাঙ্গালীর ইতিহাস (আদি পর্ব) পশ্চিমবঙ্গের সংষ্কৃতি(বিনয় ঘোষ) হুগলি জেলা ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ(সুধীর কুমার মিত্র)। উইকিপিডিয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দা🙏

Comments