Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб সুলতান মাহমুদ। Sultan Mahmud . ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র। Asadul Islam 2021 в хорошем качестве

সুলতান মাহমুদ। Sultan Mahmud . ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র। Asadul Islam 2021 4 года назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



সুলতান মাহমুদ। Sultan Mahmud . ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র। Asadul Islam 2021

মহেন্দ্র প্রতাপ (কেন্দ্রে)-এর সাথে বৈঠকে (বাঁ থেকে ডানে, যথাক্রমে), মৌলভি বরকতুল্লাহ, ওয়ার্নার অটো ফন হেন্টিগ, কাজিম বে এবং ওয়াল্টার রোর। কাবুল, ১৯১৬। "নিডারমায়ার-হেন্টিগ অভিযান" ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কেন্দ্রীয় শক্তি কর্তৃক আফগানিস্তানে প্রেরিত একটি কূটনৈতিক অভিযাত্রা, যা সংগঠিত হয় ১৯১৫-১৯১৬ সালে। এর উদ্দেশ্য ছিল আফগানিস্তানকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করতে এবং কেন্দ্রীয় শক্তির অংশগ্রহণ করতঃ ভারতের ব্রিটিশ রাজকে আক্রমণ করতে তাদের অনুপ্রাণিত করা। এই অভিযানটি ছিল "হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রের" অংশবিশেষ, যেটি ছিল ভারতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটানোর লক্ষ্যে একটি ভারত-জার্মান যৌথ পরিকল্পনা। কাগজে-কলমে এর নেতৃত্বে ছিলেন নির্বাসিত ভারতীয় যুবরাজ রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ। অভিযানটি ছিল জার্মানি ও উসমানীয় খেলাফতের একটি যৌথ উদ্যোগ, এবং এর নেতৃত্ব দান করেন জার্মান সামরিক কর্মকর্তাদ্বয় অস্কার নিডারমায়ার এবং ওয়ার্নার অটো ফন হেন্টিগ। এই প্রতিনিধি দলের অন্যেরা ছিলেন "বার্লিন কমিটি" নামক একটি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যগণ, যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মৌলভি বরকতুল্লাহ এবং চম্পকরাম পিল্লাই। তুর্কী প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন কাজিম বে, যিনি তুরস্কের রাজনৈতিক নেতা এনভার পাশার একজন বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। ব্রিটেন এই অভিযানকে তাদের সাম্রাজ্যের জন্যে একটি মারাত্মক হুমকিস্বরূপ মনে করে। ১৯১৫ সালের গ্রীষ্মে এই অভিযানের সদস্যগণ পারস্যের মধ্য দিয়ে গমন করার সময়, ব্রিটেন ও তাদের মিত্র রুশ সাম্রাজ্য তাঁদের পাকড়াও করার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। অতঃপর ব্রিটিশরা গোপনে গোয়েন্দা তত্পরতা ও কূটনৈতিক অভিযান শুরু করে। ভারতের তত্কালীন বড়লাট, চার্লস হার্ডিঞ্জ ও রাজা ৫ম জর্জ ব্যক্তিগতভাবে আফগানিস্তানের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার তত্পরতা চালান। এই অভিযানটি এর মূল লক্ষ্য অর্জনে, তথা জার্মানি ও তুরস্কের পক্ষে আমির হাবিবুল্লাহ খানের নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানকে যুদ্ধে অবতীর্ণ করতে ব্যর্থ হলেও, এর ফলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলির সূত্রপাত হয়। এই অভিযানের ফলশ্রুতিতে আফগানিস্তানে শুরু হয় ব্যপক রাজনৈতিক গোলযোগ ও সংস্কার কর্মসূচি, যার চূড়ান্ত ফলাফলস্বরূপ ১৯১৯ সালে আমির একজন আততায়ীর হাতে খুন এবং এতে করে ৩য় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। এর ফলে উদীয়মান বলশেভিক রাশিয়া তাদের "কালমিক কর্মসূচি" আরম্ভ করে, যার উদ্দেশ্য ছিল এশিয়া মহাদেশে সমাজতান্ত্রিক অভ্যূত্থানের গোড়াপত্তন করা এবং ব্রিটিশ রাজের অবসান ঘটানো। নিডারমায়ার-হেন্টিগ অভিযানের আরেকটি ফলাফল ছিল, ভারতীয় জনগণের মধ্যে যে স্বাধীনতার চেতনার উদ্ভব হয়েছে তা খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক "রাওলাত কমিটি" গঠন; এছাড়াও এ অভিযানের ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে ভিন্ন চোখে দেখতে থাকে। পরিচ্ছেদসমূহ ১ পটভূমি ২ আফগানিস্তানে প্রথম অভিযাত্রা ৩ দ্বিতীয় অভিযাত্রা ৩.১ সদস্যবৃন্দ ৩.২ সংগঠন ৪ যাত্রা ৪.১ পারস্য এবং ইস্পাহান ৪.২ পূর্ব পারসিক বেষ্টনী ৪.৩ আফগানিস্তান ৫ আফগান পরিকল্পনা ৫.১ আমির হাবিবুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত ৫.২ নসরুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত ৫.৩ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি ৫.৪ আফগান-জার্মান মৈত্রীর চুক্তির খসড়া ৬ অভিযানের পরিসমাপ্তি ৭ পাদটীকা ৮ তথ্যসূত্র ৯ বহিঃসংযোগ পটভূমি ১৯১৪ সালের আগস্ট মাসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় যখন যুদ্ধরত সার্বিয়া ও অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির প্রতি মৈত্রীতা থেকে জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। তদুপরি জার্মান বাহিনী বেলজিয়াম অনুপ্রবেশ করলে তার ফলস্বরূপ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। একের পর এক সামরিক ঘটনাপ্রবাহে এবং জার্মানি ও উসমানীয় খেলাফতের মধ্যকার মৈত্রীকে কেন্দ্র করে, নভেম্বর মাসে রাশিয়া তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তুরস্ক তখন কেন্দ্রীয় শক্তির পক্ষে এবং "এন্টেন্ট"-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ জার্মানি ও তুরস্ক তাদের শত্রুপক্ষকে দূর্বল করে দেয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যসমূহকে আক্রমণের পরিকল্পনা করে, যার অন্তর্গত ছিল রাশিয়ার কর্তৃত্বে থাকা তুর্কেস্তান ও ব্রিটিশদের শাসনাধীন ভারত। পরিকল্পনা মোতাবেক তারা এসমস্ত অঞ্চলে রাজনৈতিক আলোড়নের সূত্রপাত করে।[১] ভারতীয় জাতীয়তাবাদীগণ বিশ্বযুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ে, তাদের ব্রিটিশবিরোধী কার্যকলাপের জন্যে জার্মানি, তুরস্ক, পারস্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহে তাদের ঘাঁটি গড়ে। ভারতের জাতীয়তাবাদীগণের সাথে একারণে জার্মানির সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল, যাকে জার্মানি যুদ্ধের সময় কাজে লাগায়। ১৯১৩ সাল থেকেই জার্মানিতে প্রকাশনা শুরু হয় বিভিন্ন বিপ্লবী প্রকাশনা ও প্রচারণা, যাতে জার্মানির সাথে ব্রিটিশদের চলমান যুদ্ধের কথা বর্ণিত হয় এবং একথাও উল্লেখ করা হয় যে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জার্মানি সমর্থন দান করতে পারে।[২] যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস পরেই জার্মানির বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতীয়দের বিভিন্ন দুঃখ-দুর্দশা ও তাদের ওপর ব্রিটিশদের শোষণ-নিপীড়নের খবর প্রকাশিত হতে থাকে।[২]

Comments