Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб সোনার তরী | HSC বাংলা ১ম পত্র Animated Lessons | Shikho в хорошем качестве

সোনার তরী | HSC বাংলা ১ম পত্র Animated Lessons | Shikho 1 год назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



সোনার তরী | HSC বাংলা ১ম পত্র Animated Lessons | Shikho

আজকের পর্বে আমরা সোনার তরী কবিতাটি নিয়ে আলোচনা করবো। ভর্তি হতে, App টি Download করো 😄 App Link: http://shikho.io/ShikhboJitbo অথবা ক্লিক করো: ✅HSC বাংলা ১ম পত্র Animated Lessons- http://shikho.io/Bangla1-Al 💥HSC এর জন্য অন্যান্য কোর্সসমূহ: ✅HSC Science Animated Lessons Bundle- http://shikho.io/HSC-Sci-AL ✅HSC Common Animated Lessons Bundle- http://shikho.io/HSC-Common-AL ✅HSC ইংরেজি Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Engllish-AL ✅HSC উচ্চতর গণিত ১ম পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-HM-1st-AL ✅HSC উচ্চতর গণিত ২য় পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-HM-2nd-AL ✅HSC জীববিজ্ঞান ১ম পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Bio-1st-AL বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা সোনার তরী, তাই অন্য কবিতাগুলোর মতো এই কবিতার কবি পরিচিতিও তোমাকে খুব ভালো করে পড়তে হবে। কারণ সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞানমূলক অংশে বা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নগুলোতে তোমাকে কবি পরিচিতি থেকে প্রশ্ন করা হতে পারে। কিন্তু অপরিচিতা গদ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে জেনে আসায়, এখানে আর নতুন করে কবি পরিচিতি ব্যাখ্যা করা হচ্ছে না। তুমি চাইলে অপিরিচিতা দেখে বিশ্বকবি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে। এখন তোমার মনে প্রশ্ন আসতে পারে রূপক কবিতা কি? যে কবিতায় কোনো পরোক্ষ ঘটনা বা বিষয়বস্তুকে সামনে এনে তার পিছনের বাস্তব কোনো ভাব বা দর্শন প্রকাশ করা হয় তাকে রূপক কবিতা বলে। সোনার তরী কবিতাটিতে সাধারণ ভাবের আড়ালে গভীর জীবন দর্শন ফুটে ওঠায়, এটিও একটি রূপক কবিতা। কবিতার লাইনগুলো পড়ে আসলে যে মূল বা সরল অর্থ পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে আক্ষরিক অর্থ। কিন্তু লাইনগুলোর কিছু লুকানো অর্থ আছে, যেটি হচ্ছে ভাবার্থ। “গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।” এখানে গগন হচ্ছে আকাশ, বরষা হচ্ছে বর্ষাকাল। এই দুই লাইনে বলা হয়েছে আকাশে মেঘ গর্জন করছে, ঘন বর্ষাকাল। নদীর কূলে বা নদীর ধারে কৃষক কোনো ভরসা ছাড়া বসে আছে। এখানে রূপক অর্থে বোঝানো হয়েছে মানুষ বা শিল্পস্রষ্টা কঠিন পরিবেশে একা বসে আছেন। কিন্তু সেই পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসার কোনো পথ পাচ্ছেন না। “রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটা হলো সারা, ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা – কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।।” এখানে রাশি রাশি বহুবচন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। সারা বলতে কাজ শেষ করা বোঝানো হয়েছে। ক্ষুরধারা বলতে আক্ষরিক অর্থে ক্ষুরের মতো ধারালো বোঝানো হয়েছে, যার ভাবার্থ হচ্ছে সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ কবিতার এই অংশে বোঝানো হয়েছে, কৃষক স্তুপ করে ধান জমা করেছেন। আর তা করতে করতেই বর্ষাকাল চলে এসেছে। রূপক অর্থে এখানে বোঝানো হয়েছে মানুষ তার অনেক সৃষ্টিকর্ম তৈরি করছে, আর তা তৈরি করতে করতেই চারিদিক থেকে বৈরি সময় বা কঠিন সময় তাকে ঘিরে ফেলে। “একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা – চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।।” এখানে বাঁকা জল বলতে ভয়ংকর স্রোত বোঝানো হয়েছে, যা রূপক অর্থে প্রতিকূল সময় বা ভয়ংকর সময় বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। এখানে বলা হচ্ছে একটি ছোট খেতে কৃষক একলা বসে আছে। অন্যদিকে এই ক্ষেতের চারিদিকে ভয়ংকর স্রোত যেনো সব কিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। রূপক অর্থে এখানে ছোট ক্ষেত দিয়ে পৃথিবীকে বোঝানো হয়েছে। যেখানে মানুষ একা বিভিন্ন সৃষ্টি করতে করতেই মৃত্যুর সময় চলে আসে। “পরপারে দেখি আঁকা তরুছায়ামসী-মাখা গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাতবেলা – এপারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।।” এখানে তরুছায়ামসী-মাখা বলতে বোঝানো হয়েছে গাছপালার ছায়ায় ঢাকা। আর প্রভাতবেলা হচ্ছে ভোরবেলা। কবিতার এই অংশে বোঝানো হয়েছে ভোরে কৃষক একা বসে অন্য পাশের গ্রামটিকে দেখছেন। রূপক অর্থে বলা যায় মানুষ তার পাশে সব সৃষ্টিকর্ম নিয়ে একা বসে আছে। কিন্তু অন্যপাড়ে অর্থাৎ ভবিষ্যতে পরিণতি কি হবে, তা আমরা কেউ জানিনা। ভবিষ্যত যেনো ঠিক গ্রামের মতই কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হচ্ছে কবির কাছে। “গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে! দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।” কবিতার এই অংশে কৃষকের মনে হতে থাকে গান গেয়ে কেউ যেনো নৌকা বেয়ে কাছে আসছে। তার আরও মনে হয় তিনি মাঝিটিকে চেনেন। রূপক অর্থে গান গেয়ে আসা তরী বা নৌকাটি আসলে মহাকাল। নদীর ঢেউগুলো যেনো কোনো উপায় না পেয়ে নদীর তীরে আছড়ে পড়ছে। কৃষকের নৌকা বাইতে থাকা মাঝিকেই চেনা মনে হচ্ছে। রূপক অর্থে এই অংশে বলা হচ্ছে মহাকালের নৌকা থামছে না, যাকে সব শিল্পস্রষ্টায় চিনেন। শিল্পস্রষ্টা নিজের সৃষ্টিগুলো নিয়ে একা বসে মহাকালের ছুটে চলা দেখছে। “ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে? বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।” কৃষক এখানে মাঝিকে জিজ্ঞাসা করছে, সে নৌকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছে। কৃষক নৌকাটিকে নদীর তীরে একবার ভিরানোর জন্য মিনতি করে। রূপক অর্থে এই অংশে মানুষ বা শিল্পস্রষ্টা মহাকালকে জিজ্ঞাসা করছে, কোথায় যাচ্ছে সে। কবি কিছু সময়ের জন্য মহাকালের নৌকাকে কূলে ভিরানোর জন্য আকুতি জানায়। “ঠাই নাই, ঠাই নাই – ছোট সে তরী আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।” কবিতার এই অংশটুকু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই লাইন থেকে তুমি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন পেতে পারো। তাই কবিতার এই অংশ খুব ভালো মতে বুঝে নাও। এখন চলো দেখে নেই কবিতার মূলভাব সম্পর্কে। কোনো কবিতার মূলভাব না জানলে কবিতা থেকে আসা সৃজনশীল প্রশ্নগুলো উত্তর করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এখন তাই মূলভাবটি খুব ভালোভাবে বুঝে নাও। কৃষকের সব ফসল নিয়ে যাওয়ায় নৌকা ভরে যায়, যেখানে কৃষকের জন্য আর জায়গা অবশিষ্ট থাকে না। মাঝি কৃষকের ফসল গ্রহণ করলেও, কৃষককে গ্রহণ করে না। সবশেষে মানুষ বেঁচে না থাকলেও বেঁচে থাকে মানুষের সৃষ্টি গুলো। মহাকাল সৃষ্টিগুলোকে রক্ষা করলেও, শিল্পস্রষ্টাদের রক্ষা করে না। মানুষ নয় বরং তার সৃষ্টিগুলোই অমর হয়ে থাকে। তাহলে আজ এই পর্যন্তই। আজকের পর্বে তুমি সোনার তরী কবিতার আবৃত্তি, কঠিন শব্দের অর্থ আর প্রতিটি লাইনের ব্যাখ্যা দেখলে এবং মূলভাব সম্পর্কে জানলে। আগামী পর্বে কবিতাটির দুটি সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান দেখানো হবে। সে পর্যন্ত ভালো থেকো। শূভ কামনা ।

Comments