Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб মা সারদা দেবীর জীবনী || Biography of Ma Sarada Devi в хорошем качестве

মা সারদা দেবীর জীবনী || Biography of Ma Sarada Devi 3 года назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



মা সারদা দেবীর জীবনী || Biography of Ma Sarada Devi

মা সারদা দেবীর জন্ম দরিদ্র সংসারে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তিনি দয়ার মূর্তি। সারদা মা যখন পাঁচ বছর অতিক্রম করে ছ-বছরে পড়েছেন, তখন ওদিকে দক্ষিণেশ্বরে কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায়-ভবিষ্যতের শ্রী রামকৃষ্ণ সাধনার তোড়ে ভেসে চলেছেন। জগজ্জননীর দর্শন না পেয়ে তিনি থামবেন না। অবশেষে একদিন ব্যাকুলতার বেদনায় মায়ের হাতের খড়গ তুলে নিয়ে মায়ের চরণেই যখন আত্মাহুতি দিতে উদ্যত হলেন, মা দেখা দিলেন তখন। এরপর থেকে জগজ্জ্ননী তাঁর কাছে জীবন্ত হয়ে উঠলেন-আর তিনি মন্দিরের পাষান প্রতিমা নন। মায়ে ছেলের এক অপূর্ব দিব্যলীলা অভিনীত হয়ে চলল দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে। শ্রীমা সারদা দেবী যুগাবতার শ্রী রামকৃষ্ণের যথার্থ সহধর্মিনী এবং লীলা সঙ্গিনী। সারদা মা ছিলেন এমনই একজন নারী যিনি স্বামীর নিঃস্বার্থ সেবা এবং তাঁর ঈশ্বর সাধনার পথে সর্বান্তকরণে সহযোগিতা করতেন এবং অত্যান্ত সাধারণ এবং দৈহিক শ্রম সাধ্য কাজও অভিনিবেশের সঙ্গে সম্পন্ন করে যেতেন। স্বামীর সান্নিধ্যে তিনি কঠোর সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন এবং সুউচ্চ আধ্যাতিক ভূমিতে উপনীতা হন। তিনি দেবী, তিনি মাতা, তিনি জ্ঞানময়ী, জ্ঞানদাত্রী। শ্রীমা যে দেবী, শ্রী রামকৃষ্ণ তার পরিচয় দিয়ে গেছেন। আমাদের তথা মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য পবিত্রতা স্বরূপিনী শ্রীমা সারদা দেবীর জীবনের মধ্যে দিয়ে নারীর মহান আদর্শ পুনরুদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। একদিকে তিনি স্বকীয় জীবন দ্বারা বহুপ্রাচীন রীতিনীতির স্বার্থকতা প্রমাণ করেছেন। অন্যদিকে আবার আমাদের সামাজিক প্রথাগুলির মধ্যে দিয়ে যা কিছু কুসংস্কার ও সংকীর্ণতামুক্ত, প্রচন্ড বলিষ্ঠতার সাথে তা পরিহার করেছেন। তিনি প্রাচীন ভারতীয় নারী সংস্কৃতির যা কিছু শিব ও সুন্দর তা এই যুগে তুলে ধরেছেন। আবার পৃথিবীর বর্তমান নারী সমাজের শ্রেষ্ঠ আশা-আকাঙ্খা ও সফল করেছেন। তিনি প্রাচীন ও নবীন নারী ঐতিহ্যের সংযোগ সেতু রূপে যেন আবির্ভূতা হয়েছেন। শ্রী মা জগতের সবাইকে দেখেছেন সন্তান রূপে, শ্রী মার জীবনের যে কোন অংশই এই পার্থিব মাতৃস্নেহের মহিমায় মহিমান্বিত। ত্যাগ ও তপস্যা তার ভূষণ। তিনি আদর্শ অবিচল ছিলেন। যে আদর্শ মানুষকে দেবত্বে উন্নীত করে। তার সমগ্র জীবন কঠিন কঠোর সাধনা সব মিলিয়ে শ্রীমা সারদা দেবী এক বিষ্ময়কর চরিত্র। কারও স্তুতিতে তিনি বড় নন, তাঁর মহিমা স্বপার্জিত। নারী জাগরণের ক্ষেত্রে শ্রীমা তার ভূমিকাটি পালন করেছেন দু’ভাবে। প্রথমত: নিজেকে তিনি আদর্শ নারী রূপে জগতের সামনে স্থাপন করেছেন। দ্বিতীয়ত: তিনি স্বয়ং নারীদের কল্যাণের জন্য চেষ্টা করেছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন। নারীদের উন্নতির জন্য যে কোন কাজে, বিশেষত তাদের শিক্ষার ব্যাপার শ্রীমার বিশেষ সমর্থন ও উৎসাহ ছিল। মায়ের শিক্ষা, স্নেহের ভিতর দিয়ে শিক্ষা। মা তাঁর ম্তাৃস্নেহের দ্বারা ভালবাসার পথই আরোও সুগম করেন দিয়েছিলেন। মাকে যদি আমরা ভালোবাসি, তার চরণে যদি আমরা প্রণাম নিবেদন করি, তবে সেই ভালোবাসা, সেই প্রণাম ঠাকুরের কাছেই গিয়ে পৌঁছায়। মা ই-হচ্ছেন ঠাকুরের অপররূপ। জগৎ কল্যাণ ব্রতের যতটুকু ঠাকুর শেষ করে যেতে পারেননি লীলা-সঙ্গিনীর মাধ্যমে তা সম্পন্ন করেছেন। সারদা লীলা কৃষ্ণলীলারই পরিপূরক। মা বলতেন-স্ত্রী লোকের লজ্জাই হল ভূষণ। যার আছে ভয়, তারই জয়। যে সয় সেই রয়। আমাদের জীবনে আর কর্মে মায়ের এই ছোট ছোট উপদেশ গুলি যদি গ্রহণ করতে পারি তাহলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যাবে। পৃথিবীর মতো সহনশীলা মা সারদা পৃথিবীর মানুষকে ও উপদেশ দিয়ে বলেছেন, পৃথিবীর মতো সহ্য গুণ সস্পন্ন হও, এই পৃথিবীর উপর কত রকমের অত্যাচার হচ্ছে। কিন্তু পৃথিবী অবাধে সব সইছে। সন্তোষের সমাধান ধন নেই, আর সহ্যের সমান গুণ নেই। মা আরও বলেছেন মানুষ শান্তি শান্তি করে পাগল হয়, কিন্তু নিজেই অশান্তি সৃষ্টি করে। তাই তিনি বলেছেন- ‘যদি শান্তি চাও মা, কারো দোষ দেখ না, দোষ দেখবে নিজের।’ .... জয় মা।

Comments